যুদ্ধের নীতি

যুদ্ধ নীতি সম্পর্কিত হাদিস এবং কুরআনের শ্লোক সহ পোস্টার ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড করতে, পোস্টারটি দীর্ঘক্ষণ টিপুন এবং “চিত্র ডাউনলোড করুন” বিকল্পটি নির্বাচন করুন৷

সবচেয়ে নিষ্ঠুর কে? হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেনঃ
নিঃসন্দেহে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সবচেয়ে নিষ্ঠুর ব্যক্তি হল সেই ব্যক্তি যে এমন কাউকে হত্যা করে যে যুদ্ধে নিয়োজিত নয়। মুসনাদে আহমাদ # 6757

নিপীড়ন হত্যার চেয়েও জঘন্য নিপীড়ন (ও অত্যাচার) হত্যার চেয়েও জঘন্য। কুরআন অধ্যায় 2: শ্লোক 191

যুদ্ধ নীতি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
(যুদ্ধে) শিশু, নারী, বৃদ্ধ ও অন্ধকে হত্যা করো না। কোনো গাছ উপড়ে ফেলবে না, সেই গাছ ব্যতীত যা আপনাকে যুদ্ধে বাধা দিতে পারে। মৃতদেহকে বিকৃত করবেন না, পশু হত্যা করবে না, বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না এবং সীমালঙ্ঘন করবে না। বায়হাকী #9/91

যুদ্ধে অসামরিক মানুষকে হত্যা করা যাবে না ঈশ্বরের পথে (শুধু) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, কিন্তু সীমা লঙ্ঘন করো না: যারা সীমা অতিক্রম করে ঈশ্বর তাদের পছন্দ করেন না।

যুদ্ধে শুধুমাত্র যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা বৈধ। অসামরিক মানুষদের ক্ষতি করা যাবে না। কুরআন অধ্যায় 2: আয়াত 190

শান্তির প্রবণতা শত্রু যদি শান্তির প্রতি প্রবণতা দেখাই, তবে আপনাকে অবশ্যই শান্তির দিকে ঝুঁকতে হবে এবং ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখতে হবে। নিশ্চয়ই ঈশ্বর সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। কুরআন অধ্যায় 8: শ্লোক 61

শান্তির প্রস্তাব দিলে যুদ্ধ হয় না যদি তারা (শত্রু) তোমার থেকে (যুদ্ধ করতে) দূরে থাকে এবং তোমাকে শান্তির প্রস্তাব দেয়, তবে ঈশ্বর তোমাকে তাদের বিরুদ্ধে (যুদ্ধ করার) কোনো ক্ষমতা দেননি। কুরআন অধ্যায় 4: শ্লোক 90

সন্ন্যাসী ও সাধুদের হত্যা করা যাবে না হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
(যুদ্ধে) যারা উপাসনালয়ে উপাসনায় যুক্ত তাদেরকে হত্যা করো না। মুসনাদে আহমাদ # 2728

যুদ্ধবন্দীদের প্রতি সদয় আচরণ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
আমি তোমাকে যুদ্ধবন্দীদের সাথে ভালো ব্যবহার করার নির্দেশ দিচ্ছি। মাজমুয়া জাওয়ায়েদ # 6/89

যুদ্ধবন্দীদের জন্য খাদ্য ও বস্ত্রের ব্যবস্থা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
বন্দীদের খাওয়ানো, তাদের (সঠিকভাবে) পোশাক পরানো এবং তাদের সামর্থ্যের বাইরে এমন কাজের বোঝা না দেওয়া অপরিহার্য। সহীহ মুসলিম #1662

অত্যাচার নিষিদ্ধ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
যারা এই পৃথিবীতে মানুষকে নির্যাতন করে ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন। সহীহ মুসলিম # 2613

ন্যায়পরায়ন মানুষ এবং বন্দী (ন্যায়পরায়ন লোকেরা) তাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, গরীব, অনাথ ও বন্দীকে খাদ্য দেয়, (বলে) 'আমরা একমাত্র ঈশ্বরের সন্তুষ্টির জন্যই তোমাদের খাওয়াই: আমরা তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা চাই না।' কুরআন অধ্যায় 76: শ্লোক 8 এবং 9

লুণ্ঠন মঞ্জুরের যোগ্য নয় "নবী (সাঃ) এর একজন সাথী বর্ণনা করেছেন: আমরা শত্রুদের কিছু ভেড়ার কাছে এসে তাদের লুট করে নিয়েছিলাম এবং আমাদের রান্নার হাঁড়ি স্থাপন করেছিলাম। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) হাঁড়ির পাশ দিয়ে চলে গেলেন এবং সেগুলি উল্টে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারপর নবীজী বললেন : "নিশ্চয়ই লুণ্ঠনের কোনো অনুমতি নেই।" ইবনে মাজাহ #3938

মন্দের সাথে মোকাবিলা করা মন্দ কাজের প্রতিফল তার সমতুল্য। কিন্তু যারা ক্ষমা করে এবং মীমাংসা কামনা করে, তাদের পুরস্কার ঈশ্বরের কাছে রয়েছে। নিশ্চয়ই তিনি (ঈশ্বর) অত্যাচারীদের পছন্দ করেন না। কুরআন অধ্যায় 42: শ্লোক 40

WHAT OTHERS ARE READING

যুদ্ধের নীতি

বিশ্ব হাসি দিবস

কৃষক দিবস

বিবাহ

Most Popular

জীবনের উদ্দেশ্য

মৃত্যু পরবর্তী জীবন

ন্যায়

উত্তম চরিত্র